বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে রুমা উপজেলা ভ্রমণে এখনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাক্ষর করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অষ্টম দফায় নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধি করে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বান্দরবানের বর্তমানে অন্য পাঁচটি উপজেলা বান্দরবান থানচি, সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
পাহাড়ে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ বিরোধী যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় দেশী-বিদেশী পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরো চার দিন বাড়িয়ে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
নিরাপত্তার কারণে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি-মিয়াননমার সীমান্তজুড়ে যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান থাকায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের চারটি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরো বেড়েছে। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন।
নিরাপত্তার কারণে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, আলীকদম এবং থানচি এই চারটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।